বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর কাছে শুনে মনে হয়েছে রিডিং সেকশনটা অনেকের কাছেই IELTS/TOEFL এর সবচেয়ে কঠিন অংশ। তবে আমার মতে, এই সেকশনে ভালো করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। অন্তত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তাই মনে হয়েছে।
এই সেকশনের সুবিধাঃ সব প্রশ্নের উত্তর যেহেতু প্যাসেজ এর মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়, এই সেকশনে উত্তর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অসুবিধাঃ হটাৎ করে ভালো করে ফেলা সম্ভব না, ইম্প্রুভ করতে সময় লাগে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল নির্ধারিত সময়ে প্যাসেজ পড়ে শেষ করা।
করনীয়ঃ
১। রিডিং এ ভালো করার জন্য পড়ার বিকল্প নেই। বারবার অনুশীলন করে (কেমব্রিজ বা অন্যান্য বই) স্কোর কিছুটা ভালো করা সম্ভব, কিন্তু বড় স্কেলে উন্নতির জন্য বেশি বেশি ইংরেজী পড়তেই হবে। যদি আপনার লক্ষ্য থাকে স্কোর ২৮ থেকে ৩২ করবেন, তাহলে বারবার পরীক্ষা দিয়ে, কিছু শর্টকাট অনুসরণ করে তা করতে পারবেন। তবে যদি লক্ষ্য হয় ২৮ থেকে ৩৮, তাহলে আপনার রিডিং স্কিল বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আর এর জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু ইংরেজী পড়া দরকার। গল্পের বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ব্লগ পোস্ট- যা ভালো লাগে অন্তত ২০-৩০ মিনিট পড়লে রিডিং স্পীড বাড়বে। পাশাপাশি, পড়ে বুঝার ক্ষমতাও বাড়বে।
২। যেহেতু সময় খুব কম পাওয়া যায়, তাই প্যাসেজ যেন একবারের বেশি পড়তে না হয় সেটা লক্ষ্য রাখা উচিত। বিভিন্ন রকম উপায় আছে এইটার জন্য। আমি এখানে নিজে যেটা অনুসরণ করেছি সেটা উল্লেখ করছি, তবে আপনারা Google করলে আরো অনেক টিপস পাবেন।
এই মেথড টার নাম 'এক্টিভ রিডিং'। রিডিং সেকশনের প্রতিটা প্যাসেজে বেশ কয়েকটা (৬-১০) প্যারাগ্রাফ থাকে। প্রত্যেক প্যারাগ্রাফ পড়ার পর ওই প্যারাগ্রাফের ৩-৪ শব্দের সারমর্ম ঐ প্যারাগ্রাফের পাশে পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখতে হবে (প্রশ্নপত্রে লিখলে কোন অসুবিধা নাই)। টেলিভিশন নিয়ে লেখা একটা প্যাসেজের ১ম প্যারার সারমর্ম এইরকম হতে পারে- "Invention, Year, Inventor". তাহলে টিভি আবিষ্কার নিয়ে যেকোন প্রশ্নের উত্তর কই পাওয়া যাবে তা সহজেই মনে থাকবে।
এইভাবে সবগুলো প্যারাগ্রাফের জন্য লিখে রাখলে, প্রশ্ন পড়ার পর উত্তরটা কোথায় আছে খুঁজে বের করা খুব সহজ হয়। মনে হতে পারে লেখার জন্য সময় নষ্ট হবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওইটুকু সময় খরচ করলে পরে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে অনেক সময় বাঁচানো যায়।
(পার্ট-২ তে এক্টিভ রিডিং এর আরো উদাহরণ এবং টিপস থাকবে)
No comments:
Post a Comment